ফ্রিল্যান্সিং কি ?

ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) কি এবং কিভাবে একজন ফ্রিল্যান্সার হওয়া যায় । নিজেকে আত্বনির্ভরশীল করার লক্ষ্যে সিমীত সময়ের জন্য যে কাজে নিজেকে নিয়োগ করা হয় তাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে । ফ্রিল্যান্সার কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে দীর্ঘস্থায়ী চুক্তি ছাড়া কাজ করেন । একজন ফ্রিল্যান্সারের যেরকম রয়েছে কাজের ধরন নির্ধারনের স্বাধীনতা । গতানুগতিক ৯টা ৫টা সময়ের মধ্যে ফ্রিল্যান্সার সীমাবদ্ধ নন । ইন্টারনেটের কল্যাণে ফ্রিল্যান্সি এখন একটি নির্দিষ্ট স্থানের সাথেও সম্পর্কযুক্ত নয় । আপনার সাথে যদি থাকে একটি কম্পিউটার আর একটি ইন্টারনেট সংযোগ তা হলে যে কোন যায়গায় বসেই আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন । হতে পারে তা ওয়েবসাইট তৈরী থ্রিডি এনিমেশন, ছবি সম্পাদনা, ডাটা এন্টি বা শুধুমাত্র লেখালেখি করা ।


ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস কি ? এবং এর সম্পর্কে কিছু কথা .....

ইন্টারনেটে অনেকগুলো জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রয়েছে যারা আউটসোর্সিং এর সুযোগ সৃষ্টি করে দেয় । এই সকল সাইটকে বলা হয় ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস । ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস সাইটে দুই ধরনের ব্যবহারকারী থাকে । এসব ওয়েবসাইটে যারা কাজ জমা দেয় তাদেরকে বলা হয় Buyer বা Client এবং যারা কাজগুলো সম্পন্ন করে তাদেরকে বলা হয় Freelancer, Provider, Seller, অথবা কোন কোন ক্ষেত্রে Coder একটি কাজ পাবার জন্য একাধিক ফ্রিল্যান্সাররা আবেদন করেন , যাকে বলা হয় বিড (Bid) করা । বিড করার সময় ফ্রিল্যান্সাররা কাজটি কত টাকায় সম্পন্ন করতে পারবে তা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী উল্লেখ করে । এদের মধ্য থেকে ক্লায়েন্ট যাকে ইচ্ছা তাকে নির্বাচন করতে পারে । সাধারনত কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা, টাকার পরিমান এবং বিড করার সময় ফ্রিল্যান্সারের মন্তব্যের ওপর ভিত্তি করে ক্লায়েন্ট একজন ফ্লিল্যান্সারকে নির্বাচন করে থাকে । ফ্রিল্যান্সার নির্বাচন করার পর ক্লায়েন্ট প্রজেক্টের সর্ম্পূন্ন টাকা ওই সাইটগুলোতে এস্ক্রো (Escrow) নামক একটি একাউন্টে জমা করে দেয়, যা কাজ শেষ হবার পর সাথে সাথে ফ্রিল্যান্সারের পাওনা পরিশোধের নিশ্চয়তা প্রদান করে । কাজ শেষ হবার পর সাথে সাথে ফ্রিল্যান্সারের পাওনা পরিশোধের নিশ্চিয়তা প্রদান করে । কাজ শেষ হবার পর ফ্রিল্যান্সারকে সম্পূর্ণ প্রজেক্টেটি ওই সাইটে জমা দিতে হয় । এরপর ক্লায়েন্ট তখন সাইটে একটি বাটনে ক্লিক করে কাজটি গ্রহণ করে । সাথে সাথে এস্কো থেকে অর্থ ওই সাইটে ফ্রিল্যান্সারের একাউন্টে জমা হয় । সম্পূর্ন সার্ভিসের জন্য এসময় ফ্রিল্যান্সারকে কাজের একটা নির্দিষ্ট অঙশ (১০% বা ১৫%) ওই সাইটকে ফি বা কমিশন হিসেবে দিতে হয় । এরপর মাস শেষে সাইটটি ফ্রিল্যান্সারের আয়কৃত অর্থ বিভিন্ন পদ্ধতিতে তার কাছে প্রেরণ করে ।